মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের ঘটনায় দেশটির জান্তা সমর্থিত বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী—বিজিপির আরো অর্ধশতাধিক সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তাদের পরিবারের সদস্য রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর থেকে দিনের বিভিন্ন সময়ে নাফ নদ পাড়ি দিয়ে সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে নাফ নদে টহলরত কোস্ট গার্ড ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা বিজিপি ও সেনা সদস্যদের নাফ নদ পাড়ি দিয়ে এপারের সীমান্তের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে থাকতে দেখেছে বলে জানান। তবে বিজিবি এদিন নিজেদের হেফাজতে কোনো মিয়ানমার বাহিনীর সদস্য নেই বলে দাবি করেছে। এ ছাড়া কোস্ট গার্ডের হেফাজতে থাকা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসা এ সংখ্যা শতাধিক হতে পারে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড শাহপরীর দ্বীপ পোস্টের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, নাফ নদ পাড়ি দিয়ে ৪১ জন মিয়ানমার বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে এসেছেন। তাদের টেকনাফ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করতে নাফ নদে কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মিয়ানমার বাহিনীর কোনো সদস্য বিজিবির হেফাজতে ছিল না।
’
অন্য কোনো বাহিনীর হেফাজতে আছেন কি না সে ব্যাপারে কেউ জানায়নি
পাঠকের মতামত